হুমকির মূখে শিক্ষাখাত !

12062014101717amEducation_for_sm20131008051452এইচএম মু’তাছিম সীমান্ত: বাজেট একটি দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার। গত ৫ জুন ২০১৪ বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে। বাজেট নিয়ে বাজেট বিশেষজ্ঞদের নানা কথা থাকলেও শিশুদের জন্য রয়েছে আশা এবং হতাশা উভয় দিকই। শিশুদের উন্ন্যনের জন্য ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।যেখানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ-ই শিশু সেখানে ৫০ কোটি টাকা যথেষ্ট কিনা তাই এখন প্রশ্ন! ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে শিক্ষাখাতে ।যার পরিমাণ ১১ হাজার ৯শ ৩০ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা।২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে যার পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ১ শ ৭৯ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। টাকার দিকে তাকালে-ই মনে হবে গত বছরের তুলনায় এই বছর শিক্ষাখাতে অর্থ বরাদ্দ কমেছে।অবাক করা ব্যাপার হল গত ৫ বছর ধরে-ই শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ক্রমান্বয়ে কমছে। ২০০৯-২০১০অর্থ বছরেশিক্ষাখাতে বরাদ্দ ছিল জাতীয় বাজেটের ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। ২০১০-২০১১অর্থ বছরেশিক্ষাখাতে বরাদ্দ ছিল জাতীয় বাজেটের ১৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ২০১১-২৯১২অর্থ বছরেশিক্ষাখাতে বরাদ্দ ছিল জাতীয় বাজেটের ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ। ২০১২-২০১৩অর্থ বছরেশিক্ষাখাতে বরাদ্দ ছিল জাতীয় বাজেটের ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ। ২০১৩-২০১৪অর্থ বছরেশিক্ষাখাতে বরাদ্দ ছিল জাতীয় বাজেটের১১ দশমিক ২৯ শতাংশ। তবে গত ৫ বছরে সামগ্রিকভাবে জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমেছে ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ, আর গত ৫ বছরে সামগ্রিকভাবে জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে জিডিপির অনুপাতে বরাদ্দ কমেছে০.১৬ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মানদন্ডে শিক্ষা খাতে একটি দেশের মোট জাতীয় আয়ের (জিডিপি) ৬ শতাংশ বা মোট বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। ওই পরিমাণ বরাদ্দ দিতে ২০০০ সালে সেনেগালের রাজধানীতে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের সম্মতিতে স্বাক্ষর হয় “ডাকার ঘোষণা” ।স্বাক্ষরিত বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ও ছিল।কিন্তু বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে দিন দিন বরাদ্দ কমছে।অথচ আফ্রিকাসহ পৃথিবীর অনেক দরিদ্র দেশ বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশী বরাদ্দ দিচ্ছে। শিক্ষা খাতে বাজেট কমার ফলে বাংলাদেশের শিশুদের অনেক ক্ষতি হবে।দিন দিন শিশু শিক্ষার্থী বাড়ছে আর অন্যদিকে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে দিন দিন বরাদ্দ কমছে।যার ফলে নতুন করে প্রাইমারী ও মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা নতুন শিক্ষার্থী অনুপাতে বৃদ্ধি পাবেনা,জানুয়ারীর ১ তারিখ শিক্ষার্থী এখন যে নতুন বই পায় এই ধরনের একটি মহত উদ্বোগ পড়তে পারে হুমকির মুখে। প্রাইমারী ও মাধ্যমিকে শিশু শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার বাড়বে। গ্রাম ও শহরের শিক্ষা ব্যাবস্থার যে বৈষম্য রয়েছে তা আরও প্রকট আকার ধারণ করবে। এক কথায় বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার গুনগত মান অনেক হ্রাস পাবে। শিক্ষা খাতের মান বৃদ্ধির জন্য সরকার যদি এখনি কোন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ না নেয় ও জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ না বাড়ায়তাহলে অচিরেই হয়তো বাংলাদেশের শিক্ষা খাত চরম বিপর্যয় এর মুখে পড়বে।

শিশুদেরকে দেয়া কথা রেখেছেন স্পিকার !

12062014100856amftmt015মো: সোহানুর রহমান, ঝালকাঠি: বাংলাদেশ শিশু সংসদের অধিবেশন শেষে শিশুরা জাতীয় সংসদের স্পিকার ড.শিরিন শারমীন চৌধুরীর কাছে অটোগ্রাফ চাইলে তিনি সবার বাড়ির ঠিকানায় পাঠাবেন বলে কথা দেন। তিনি বাংলাদেশ শিশু সংসদের ১৫৪ জন সদস্যকে অটোগ্রাফসহ শুভেচ্ছাপত্র পাঠিয়ে শিশুদেরকে দেয়া কথা রেখেছেন। ৭ মে শিশু সংসদ অধিবেশনের উদ্ধোধনী পর্বে তিনি সবাইকে পরের দিনে সংসদ ভবনের দক্ষিন প্লাজায় ছবি তোলার আমন্ত্রণ জানান। ৮ মে বিকেলে ছবি তোলার এক পর্যায়ে এক সদস্য তার অটোগ্রাফ চাইলে তিনি অটোগ্রাফ দেন। এরপর সবাই তার কাছে অটোগ্রাফ চাইলে তিনি সময়ের অভাবে দিতে পারেননি। তবে সবাইকে তার স্বাক্ষরিত শুভেচ্ছা পত্র পাঠাবেন বলে কথা দেন এবং সংসদ সচিবালয়কে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেন| স্পিকারের সহকারী সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস সাদরুল আহমেদ খান বলেন,” স্পিকার ভারত সফরের আগেই শুভেচ্ছা পত্রে স্বাক্ষর করেন। যা এ সপ্তাহের মধ্যে ১৫৪ জন শিশু সংসদ সদস্যের কাছে মেইল ও ডাকযোগে পৌঁছে যাবে|” স্পিকার শিশু সংসদে অংশ নেয়া শিশুদের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়ে শিশু সংসদ থেকে পাওয়া শিক্ষা জীবনে কাজে লাগাতে বলেন।

শিশু বাজেট বাস্তবায়নের দাবি এনসিটিএফের শিশুদের !

NCTFমুসাব্বির হোসেন : ২০১৪-১৫ প্রস্তাবিত বাজেটে শিশুদের জন্য যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা তার বাস্তবায়ন চেয়েছে জাতীয় পর্যায়ে শিশুদের প্রতিনিধিত্বকারী শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্স-এনসিটিএফের শিশুরা। রোববার বিকেলে রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় বাজেট ২০১৪-১৫ পরবর্তী শিশুদের ভাবনা বিষয়ে সেভ দ্য চিলড্রেন ও প্লান ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় আয়োজনে ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্সের এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিটিএফের সদস্যরা শিশু বাজেট বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে তারা বলেন সর্বজনীন বাজেট ঘোষণার জন্য বাজেট প্রণয়নের পূর্বে শিশুদের মতামত নেওয়ার কথা । এনসিটিএফ’র সদস্যরা বলেন, শিশু বাজেট আলাদা কোনো বাজেট নয়, শিশুদের কল্যাণে সরকার বছরে কত টাকা ব্যায় করছে তা পরিমাপ করার মাপকাঠি। সংবাদ সম্মেলনে এনসিটিএফ ঢাকা জেলা কার্যনির্বাহি কমিটির সভাপতি ফাতেমা সিদ্দিকা রিমা তার লিখিত বক্তব্যে শিশুদের অগ্রাধীকার হিসেবে বিবেচনা করে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের বাজেট প্রণয়ন করায় দেশের সকল শিশুদের পক্ষ থেকে বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এবছরে বাজেটে সরকারি ব্যয়ে এখন পর্যন্ত ৩২ টি ডে-কেয়ার সেন্টার চালু করা হয়েছে আর তিনটির নির্মাণ কাজ চলছে। বড় ছয়টি শহরে আরো ছয়টি শিশু বিকাশ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। অনগ্রসর শিশুদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রবর্তন করা হয়েছে। চারটি গার্মেন্ট অধ্যুষিত এলাকায় ১০টি ডে- কেয়ার সেন্টার চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেখা যায় সরকার অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েছেন আবার অনেক ক্ষেত্রেই বরাদ্দের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। যে ক্ষেত্রে সরকার শিশুদের জন্য বরাদ্দ কমিয়েছেন সে ক্ষেত্রগুলো সরকার পুনরায় বিবেচনা করার আহ্বান জানানো হয়। শিক্ষা খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাজেট থাকলেও বিদ্যালয়গুলোতে বিনোদনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ও শিশু অপরাধীদের ভিন্ন সেলে রাখারও তারা দাবি জানান। এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বাজেট প্রক্রিয়ায় শিশুদের গুরুত্ব দিয়ে দৃশ্যমান করা ও শিশু বাজেটে কোডিংয়ে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় । সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য নিজাম উদ্দিন, চাইল্ড পার্লামেন্টের সাবেক স্পিকার এএসএম শাহরিয়ার সিফাত, চাইল্ড পার্লামেন্টের বর্তমান স্পিকার সাব্বির আহমেদ হিমু, এনসিটিএফ কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম রুমন, এনসিটিএফ কেন্দ্রীয় কমিটির নিউজলেটার প্রকাশনা, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান, এনসিটিএফ কুষ্টিয়া জেলা কমিটির সভাপতি মুসাব্বির হোসেন, এনসিটিএফ সদস্য ডলি আক্তার সহ অন্যান্য এনসিট্এফ সদস্য বৃন্দ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, প্লান ইন্টারন্যাশনালের অ্যাডভাইজার (চাইল্ড রাইটস) সৈয়দ মাতলুবার রশীদ, সেভ দ্য চিলড্রেন সিনিয়র ম্যানেজার (অ্যাডভোকেসি) মীর রেজাউল করিম, প্লান ইন্টারন্যাশনাল এর সিনিয়র ম্যানেজার অপারেশন ফারুক আহমেদ সহ আরো অনেকে।

সামাজিক উদ্যোক্তাদের স্বপ্নের প্লাটফর্ম এমএসএসসি !!

MMCইসতিয়াক আহমেদ শাওন: বিল্ড সোস্যাল রিলেশনশিপ, স্টে এ্যালাইভ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৩ সালের মাঝামাঝিতে স্থানীয়ভাবে যাত্রা শুরু করে মাদারীপুরে মাদারীপুর সোস্যাল সার্ভিস ক্লাব (এমএসএসসি) । সামাজিক সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করার লক্ষ্যে গত বছর রমজানের ঈদের আগে “প্রজেক্ট নতুন জামা” কর্মসূচির মাধ্যমে এমএস্েসসি পথচলা শুরু করে। কোরবানির ঈদের আগে মাদারীপুর স্বাধীনতা অঙ্গনে ২য় বারের মতো আয়োজন করা হয় প্রজেক্ট নতুন জামা। খানেকটা বিরতি নিয়ে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ক্লাবের পক্ষ থেকে মাদারীপুরে শীতার্থ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয় শীতবস্ত্র। যে উদ্যোগের নাম ছিলো “প্রজেক্ট উষ্ণতা”। বলছি প্রজেক্ট নতুন জামার গল্পও। স্থানীয় দরিদ্র, পথ শিশু যারা ঈদ উপলক্ষে সুবিধাভোগী শিশুদের মতো নতুন জামা কিনতে পারে না তাদেরকে ঈদের আগে নতুন জামা কিনে দেয়ার উদ্যোগের নামই প্রজেক্ট নতুন জামা। প্রজেক্ট নতুন জামা উদ্যোগের মাধ্যমে যথাক্রমে ৩২ এবং ৫০ জন শিশুর মাঝে নতুন জামা বিতরণ করা হয়। ক্লাবের আরেকটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোাগ “প্রজেক্ট স্কুলিং”। এ বছরের শুরুতে গত ০৬ জানুয়ারি মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ১০০ জন দরিদ্র তবে মেধাবী স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়া হয় নতুন স্কুল ব্যাগ। এ প্রসঙ্গে ক্লাবের একজন উদ্যোক্তা এবং প্রজেক্ট স্কুলিং এর সম্বনয়ক জানান বছরের শুরুতে সরকারের বই উৎসবের সাথে মাদারীপুরে অনুষ্ঠিত হল ব্যাগ উৎসব। বছরের শুরুতে নতুন বইয়ের সাথে নতুন স্কুল ব্যাগ পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা তথা স্কুলের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধিপাবে বলে ধারনা করছেন ক্লাবের উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তারা প্রায় সবাই পেশাগত অথবা উচ্চশিক্ষা’র জন্য মাদারীপুরের বাইরে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন। তবে তারা সবাই মাদারীপুরের সন্তান এবং বিভিন্ন উৎসবে বা বিশেষ কোন ছুটিতে মাদারীপুরে একত্রিত হন। ক্লাবের আহবায়ক জানান সামাজিক উদ্যোক্তাদের স্বপ্নের প্লাটফর্ম মাদারীপুর সোস্যাল সার্ভিস ক্লাব। আগামীতে ক্লাবের পক্ষ্য থেকে মাদকের বিরুদ্ধে গনসচেতনতা তৈরির লক্ষে “নিরবতার মুক্তি” নামে একটি উদ্যোগ গ্রহনের কথা ভাবছেন তারা। পাশাপাশি ক্ষুদে এবং তরুণ সামাজিক উদ্যোক্তাদের নিয়ে “প্রজেক্ট ফরওয়ার্ড” নামে নিয়ে আরেকটি প্রতিযোগিতা মূলক ইভেন্ট’র আয়োজন করতে যাচ্ছে এমএসএসসি। আগামী ১৫ জুন থেকে এমএসএসসি এর আয়োজনে ৪ দিন ব্যাপি এক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু হতে যাচ্ছে মাদারীপুওে হাফিজ মেমোরিয়াল পাবলিক লাইব্রেরিতে। উক্ত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হতে সংগ্রীহিত অর্থ যাবে প্রজেক্ট নতুন জামা কর্মসূচিতে। উদ্যোগ হোক ছোট কিম্বা বড় – সেটি উদ্যোগ। আর সে উদ্যোগের মাধ্যমে যদি একজন মানুষও উপকৃত হয়, সমাজের ক্ষুদ্র অংশটিও উপকৃত হয়, পরিবর্তীত হয় তবে সে উদ্যোগকে ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই বলে বিশ্বাস করেন তরুণ এই সামাজিক উদ্যোক্তারা। সবকিছুর পরে তাঁরা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ববোধকে ফাঁকি না দেয়ার প্রত্যয়ে, তারুণ্যের সজীবতার প্রলেপ সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে লেপে দেয়ার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়েছেন এই প্লাটফর্মে। প্রতি বছরই প্রজেক্ট নতুন জামা, প্রজেক্ট উষ্ণতা এবং প্রজেক্ট স্কুলিং অব্যাহত থাকবে এবং প্রজেক্ট ফরওয়াড উদ্যোগটি মাধমে স্থানীয় পর্যায়ে সম্পূর্ন ভিন্ন আঙ্গিকে কিছু করার স্বপ্ন দেখছেন উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের মাসিক চাঁদা এবং প্রজেক্ট’র পূর্বে সংগ্রীহিত অনুদানের মাধ্যমে চলছে এমএসএসসি এর সকল কর্মকান্ড।

খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে শিশু সাংবাদিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত।

সাজিদ : গত ১26052014092201amSAM_3748৬-১৭ তারিখে খুলনার কারিতাসে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শিশু সাংবাদিক প্রশিক্ষণ। খুলনার বিভাগের ১০ টি জেলা থেকে দুইজন করে মোট বিশ জন ক্ষুদে শিশু সাংবাদিক উপস্থিত হয়। উপস্থিত শিশু সাংবাদিকগণ ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্সে (এন.সি.টি.এফ) এর নির্বাচিত শিশুসাংবাদিক। গণমাধ্যম সংস্থা ম্যাস লাইন মিডিয়া সেন্টার (এম.এম.সি ) আয়োজনে এবং সেভ দ্য চিলড্রেন এর কারিগরি সহযোগিতায় প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিন এখানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনের সম্পাদক এস এম শাহিদ হোসেন। এ সময় তিনি সাংবাদিক তার বিভিন্ননীতিমালা সম্পর্কে আলোচনা করেন। দ্বিতীয় দিন উপস্থিত ছিল খুলনার প্রেস ক্লাবের সধারন সম্পাদক এস.এম. জাহিদহোসেন । তিনি অনুসন্ধান রিপোর্টসম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানায়। এম.এম.সি প্রকল্প কর্মকর্তা মাহাদির ব্যবস্থাপনায় এবং প্রকল্প সমন্বয় কারি আমিনা ফেরদৌস মুনির সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহায়ক হিসেবে উপস্তিত ছিলেন এমএমসির সেচ্ছাসেবক উম্মে হাবিবা বর্ষা এবং সেভদ্যচিলড্রেন এর যুব সেচ্ছা সেবক মৃদুল। দুই দিন ব্যাপি আবাসিক প্রশিক্ষণে ১০জন মেয়ে ও ১০জন ছেলে অংশ গ্রহণ করে। এ প্রশিক্ষণ শিশু সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের শিশু পরিস্থিতি সুষ্ঠুভাবে গণমাধ্যমে তুলে ধরতে সহায়তা করবে।

জেলা তথ্য অফিসারের সাথে কুষ্টিয়া জেলার এনসিটিএফ এর নতুন কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ।।

NCTFবৃহস্পতিবার ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স কুষ্টিয়া জেলা শাখা কমিটির সাথে কুষ্টিয়া জেলা তথ্য অফিস;সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ তৌহিদুজ্জামানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় এনসিটিএফ এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলার এন.সি.টি.এফ. এর সভাপতি মুসাব্বির হোসেন,সাধারণ সম্পাদক আনিকা,চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার ইলমা,সাংগাঠনি সম্পাদক রাব্বি,শিশু সাংবাদিক সাজিদ হাসান,শিশু গবেষক শোভন ও অন্যান্য সদস্য বৃন্দ। এ সময় এন সি টি এফ সদস্য বৃন্দ জেলা তথ্য অফিসারের কাছে এন সি টি এফ কুষ্টিয়ার প্রকাশিত কুষ্টিয়া জেলার একমাত্র শিশু পত্রিকা “শিশু জগৎ” তুলে দেন এবং এনসিটিএফ সম্পর্কে অবহিত করা হয়।তার সাথে কুষ্টিয়া জেলার শিশুদের পরিস্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া তিনি এনসিটিএফ কুষ্টিয়া কার্যক্রম দেখে প্রশংশা করেন।এবং এগিয়ে যওয়ার উৎসাহ দেন এবং বলেন তিনি কুষ্টিয়া জেলার এন.সি.টি.এফ. এর সাথে সব সময় সাথে থাকবেন।

মহান মে দিবসের অঙ্গিকার হোক শিশু শ্রম বন্ধ করা।

মুসাব্বির হোসেন: NCTFশিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ, শিশুরাই গড়বে দেশ এসব কথা এখনো যেন ঝিমিয়ে রয়েছে বই এর পাতায়। এই ডিজিটাল প্রযুক্তির দুনিয়ায় সব নারী-শিশু-বৃদ্ধ-তরুণ-তরুনী সবাইকে হিসেব করা হয় অর্থের অংকে। শিশু কিশোরদের কাজে নেয়া যাবে না এমন কথা জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে বিভিন্ন অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে দেশের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে নানা সংগঠন গুলো বিভিন্ন কর্মশালা করছে শিশু নিয়ে আর সংগঠন গুলোর মধ্যে অন্যতম ভাবে কাজ করছে ন্যশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স (এন.সি.টি.এফ) আমাদের একটাই বার্তা শিশুর অধিকার নিশ্চিত হোক , শিশু শ্রম বন্ধ হোক, শিশুদের ঝুঁকি পূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকুক । কিন্তু শিশুর অধিকার বিষয়ক আইন আমাদের দেশে কাগজে কলমে থাকলেও প্রয়োগ নেই কোথাও। বাস্তবতার দিকে একটু চোখ ফেরালেই দেখতে পাওয়া যায় এ শিশুদের বিরাট একটি অংশ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। কিন্তু অন্যদিকে জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে ৩২ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ১৮ বছরের নিচে কোন শিশু ঝুকি পূর্ণ কাজে নিয়োজিত করতে পারবেনা । কিন্তু বাসের হেলপার, ওয়েল্ডিং কারখানার কাজ, বিড়ি তৈরীতে, তুলা ও আশ জাতিয় শিল্পের কাজ, কামার শিল্প, রিক্সা, ভ্যান, সিএনজিঅটোরিক্সা, টমটম, নসিমন করিমন চালানো, বাসা বাড়ীর গৃহস্থালির কাজ সহ ২৯৫টি ঝুঁকি ও বিপদজনকপেশায় নিয়োজিত রয়েছে হাজারো শিশু। কাজ করতে গিয়ে এদের অনেকেই হাত-পা, চোখ হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। আবার কেউ কেউ ধিরে ধিরে হাপানী, শ্বাসকষ্ট,যক্ষা, ক্যান্সারের মতো মারাত্বক রোগেরশিকার হচ্ছে নিজের অজান্তেই। যে বয়সে যাদের হাতে থাকার কথা কলম,থাকার কথা কাঁধে খাতা বই, সেই হাতে শ্রমের হাতিয়ার, সেই কাঁধে দুর্ভাগ্যের বোঝা।

এমএমসির শিশু সাংবাদিক প্রশিক্ষণ সমাপ্ত।

MMC Training ঢাকাস্থ মনসুরাবাদ আদাবর এ SPED-RRTC প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শুরু হওয়া ০৬-০৫-২০১৪ইং থেকে ০৭-০৫-২০১৪ইং ২দিন ব্যাপী আবাসিক শিশু সাংবাদিক প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হয়েছে। গণমাধ্যম বিষয়ক উন্নয়ন সংস্থা ম্যাস লাইন মিডিয়া সেন্টার (এম এম সি) আয়োজনে এবং সেভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল (এসসিআই) এর সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণে ঢাকা বিভাগের ১০ টি জেলা এনসিটিএফ (ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্ক ফোর্স) এর ২ জন করে নির্বাচিত মোট ১৮ জন শিশু সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে ৯জন ছেলে শিশু ও ৯জন মেয়ে শিশু। এম এম সির প্রকল্প কর্মকর্তা সাইফ মাহদীর ব্যবস্থাপনায় এবং প্রকল্প সমন্বয়কারী আমিনা ফেরদৌস মনির সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ(পিআইবি) এর সহকারী সম্পাদক শাহেলা আক্তার। সহায়ক হিসেবে ছিলেন এমএমসির যুব স্বেচ্ছাসবেক মোঃ জামাল হোসেন (হৃদয়), এনসিটিএফ এর কেন্দ্রিয় যুব স্বেচ্ছাসেবক সুমনা ইসলাম শিল্পী। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী জেলাসমূহ হচ্ছে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, ফরিদপুর, জামালপুর, শরিয়তপুর, রাজবাড়ী। উক্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যক্ষ ভোটে ২ জন বিভাগীয় প্রতিনিধি নির্বাচিত করে তারা হলো ঢাকা জেলার রমজান এবং রাজবাড়ী জেলার প্রভা। জেলা শিশু প্রতিনিধি হিসেবে যারা যারা থাকছেন, মাহিদুর রহমান (মানিকগঞ্জ), মুহিব (মাদারীপুর), রোমা (গোপালগঞ্জ), সাকিব (টাঙ্গাইল), অলি (গাজীপুর), আনিকা (ফরিদপুর), রমজান (ঢাকা), স্বরন (জামালপুর), ঝুমুর (শরিয়তপুর), অরিত্র (রাজবাড়ী) -মোঃ জামাল হোসেন (হৃদয়)।।

বরিশালকে শিশুবান্ধব নগরী প্রকল্প ঘোষণার ৩ বছরেও বাস্তবায়ন নেই !

04052014023504pmbarishal_city_corporation_meyor_candidatsসোহানুর রহমান : বরিশাল হবে দক্ষিন এশিয়ার প্রথম শিশু বান্ধব নগরী। বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রের এমন ঘোষণার সাড়ে ৩ বছর পর হয়ে গেলেও এটি বাস্তবায়নের ছাপ পড়ছেনা নগরীতে। নানাবিধ জটিলতার কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে শিশুবান্ধব নগরী বরিশালের পথচলা। শিশু বান্ধব নগরী ঘোষনা বাস্তবায়ন হবে নাকি শুধুই কথার ফুলঝুড়ি এ নিয়ে শংকিত খোদ এ অঞ্চলের শিশুরাই। শিশু বান্ধব নগরী গড়ার ক্ষেত্রে গঠিত কমিটিগুলোও রয়ে গেছে অকার্যকর। বিসিসি’র ভারপ্রাপ্ত সচিব ডাঃ কাজী আলিমউল্লাহ জানিয়েছেন, রাজনৈতিক প্রেক্ষপটের কারণে একটু ধীরগতিতে কাজ চলছে। তবে স্কুল পর্যায়ের অনেক কাজ ইতোমধ্যে করা হয়েছে।বরিশাল সিটি করপোরেশনের ঘোষণার সাড়ে ৩ বছর পাড় হলেও আজও শিশুবান্ধব নগরীর সুফল পাচ্ছেনা এ অঞ্চলের শিশুরা। অহরহ ঘটছে শিশু নির্যাতন। শিশু অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। কমছেনা বাল্য বিবাহ। দারিদ্রতার কারণে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিতরা এখনো জরিয়ে পড়ছে বিভিন্ন ঝুকিপুর্ন কাজের সাথে। বরিশাল সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল নগরীর মোট জনসংখ্যার ৩৬ ভাগের বেশি শিশু। এসব শিশুদের উন্নয়ন, বিকাশ, সুরক্ষা, বিনোদন ও অধিকার নিশ্চিত করতে শিশুদের দাবীর প্রক্ষিতেই ২০১০ সালে বরিশাল সিটিকে শিশু বান্ধব নগরীর ঘোষনা করেন তৎকালীন মেয়র শওকত হোসেন হিরন। এ ঘোষনার কারণে তখন তিনি বহু প্রশংসা কুড়ালেও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তেমন গুরুত্ব দেননি বলে জানিয়েছে বিসিসি’র একাধিক সূত্র। শিশু বান্ধব নগরীর গড়ার জন্য ২০১১-১২ অর্থ বছরে ২ কোটি টাকা বরাদ্ধ রাখা হয়। তবে এর কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি বিসিসি কর্তৃপক্ষ। ওই অর্থবছরেরই শিশুপার্ক নির্মান প্রকল্পের জন্য ১০ লাখ টাকা বাজেটে রাখা হয়। একই ভাবে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ও ২০১৩-১৪ অর্থবছরেরও একই পকল্পের জন্য একই টাকা বরাদ্ধ রাখা হয়। সূত্র জানিয়েছে, প্রশাসনিক দুর্বলতার কারনে প্রতি অর্থ বছরে বাজেটে বরাদ্ধ রাখা হলেও সমন্বয় করে কাজ গুলো করা হচ্ছে না। শিশু সংগঠক তাহসীন উদ্দীন জানান, আসুন গড়ি শিশু বান্ধব বরিশাল নগরী গড়ার জন্য ৪টি বস্তি (বঙ্গবন্ধু কলোনী, শিশু পার্ক কলোনী, স্টেডিয়াম কলোনী, পলাশপুর কলোনী) শিশুরা পরিদর্শন করে নগরীর শিশু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করে শিশুদের প্রধান সমস্যাগুলো তুলে এনে গত সিটি নির্বাচনের সময় মেয়র প্রার্থীদের শিশুদের মুখোমুখি করা হয়। এরপর গবেষনা করে সংশ্লিষ্টদের সাথে মত বিনিময় করে চূড়ান্ত দাবী প্রস্তুত করে হয়েছে। দাবীগুলো হচ্ছে নগর শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নিয়োগ ও তার কার্যালয়, শিশুদের জন্য সিটি কর্পোরেশনের বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ ও কার্যক্রম গ্রহন, নগর শিশু কাউন্সিল গঠন, শিশু হেল্প লাইন চালু, উন্নয়ন পরিকল্পনায় শিশু স্বার্থ নিশ্চিত করন, সৃজনশীলতা বিকাশে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহন, সমন্বয় কমিটি গঠন ও সমন্বয় সাধন। তাহসীন বলেন, এ দাবী গুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে আমাদের কাংক্ষিত নগরী গড়া সম্ভব। জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফের বরিশাল আঞ্চলিক প্রধান এএইচ তৌফিক আহমেদ জানান, প্রত্যাশা থেকে প্রাপ্তি কম হওয়ায় সবাই শিশু বান্ধব নগরী নিয়ে হতাশ হলেও উদ্যোগটি অনেক দূর গুছিয়ে আনা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন বস্তির স্কুল গুলোতে ৫৫ লাখ টাকা ব্যায়ে লেট্রিন নির্মান করা হয়েছে। তবে রাজনৈতিক কারণে গতি হারিয়েছে। তিনি জানান, সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরন শিশু বান্ধব নগরী গড়ার ক্ষেত্রে তেমন আগাতে পারেনি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনে শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ও আলাদা দপ্তর থাকা দরকার। যে দপ্তর শিশু বান্ধব নগরী গড়ার ক্ষেত্রে সমন্বয়কারী হিসেবে কাজটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর এ দপ্তর না থাকায় প্রতি বাজেটে বরাদ্ধ রাখলেও কাজ করা যায়নি। বিসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মতিউর রহমান জানান, শিশু বান্ধব নগরীর কার্যক্রম ভালোভাবেই চলছে। তবে নগর শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নিয়োগের শিশুদের দাবীকে অযৌক্তিক দাবী করেন তিনি। এব্যাপারে বরিশাল সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র আহসান হাবিব কামাল জানান, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে একটি শিশু বান্ধব নগরী গড়তে বদ্ধপরিকর। বর্তমানে নগরীতে থাকা ব্যক্তিমালিকানাধীন শিশুপার্কটিও তার আমলে নির্মিত বলে জানান তিনি। তবে সদ্য বিদায়ী মেয়র হিরন তার মালিকানাধীন শিশুপার্কটির প্রবেশ ফি ৮ টাকা থেকে ২০ টাকায় উন্নীত করেছেন বলে তিনি জানান। শিশু সংগঠক সেভ দ্যা কোষ্টাল পিপলের নির্বাহী পরিচালক কাজী এনায়েত হোসেন শিপলু জানান, শিশু বান্ধব নগরী ঘোষনার কিছুটা অগ্রগতি হলেও এখন মুখ থুবরে পড়েছে। রাজনৈতিক বিচারে নয়, শিশুদের সার্থে বতমান মেয়র কাজ করলেই এ নগরী গড়া সম্ভব বলে তিনি জানান।

এগিয়ে চলছে দেশের প্রথম শিশুবান্ধব জেলা ঝালকাঠি।

জেলার শিশু অধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে দেশের প্রথম শিশুবান্ধব জেলা হিসেবে এগিয়ে চলছে শিশু বান্ধব জেলা ঝালকাঠির ভবিষ্যত।শিশুদের মাধ্যমে তাদের নিজ আধিকার রক্ষার দাবী দাওয়া জেলা পর্যায় থেকে কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারনী মহল সহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে ঝালকাঠি জেলার শিশুরা বিরাট সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। শিশুদের নিরন্তর এ্যাডভোকেসির ফলে ঝালকাঠি জেলার স্থানীয় প্রশাসন ও নীতি নির্ধারনী মহলও আন্তরিকতার সাথে শিশুদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সূত্রে প্রকাশ, ঝালকাঠি জেলাকে শিশু বান্ধব জেলা হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন অনেক দিনের । এ স্বপ্ন যেমন শিশুদের, তেমনি শিশুদের নিয়ে যারা ভাবেন ও কাজ করেন তাদেরও । দীর্ঘ দিনের এ স্বপ্ন বাস্তবতায় মূর্ত হয়ে উঠে গত বছর ২১ ও ২২ জুলাই অনুষ্ঠিত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত শিশু অধিকার প্রতিবেদন প্রণয়ন ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক কর্মশালায় সচিব তারিক-উল -ইসলাম ও উপ-সচিব মো: আমানউল্লাহর উপস্থিতিতে। কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে ঝালকাঠির সাবেক জেলা প্রশাসক অশোক কুমার বিশ্বাসের কাছে চাইল্ড পার্লামেন্ট প্যানেল স্পীকার সোহানুর রহমান ঝালকাঠি জেলাকে শিশু বান্ধব জেলা হিসেবে বিনির্মাণের জোড় দাবি জানায়। পরবর্তীতে শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ঝালকাঠি জেলাকে শিশু বান্ধব জেলা হিসেবে বিনির্মাণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ জেলার সুধীজনদের মাঝে শিশু বান্ধব জেলা সর্ম্পকে ধারণা প্রদান ও অবগত করার জন্য অনুষ্ঠিত হয়েছে শিশু বান্ধব প্লাটফর্ম সভা । সভায় ঝালকাঠি শিশু বান্ধব জেলার খসড়া ’’ধারণা পত্র’’ সকল সদস্যদের প্রদান করা হয়েছে । পরর্বর্তীতে শিশু বান্ধব জেলা কমিটির মাধ্যমে মতবিনিময় সভা আয়োজনের মাধ্যমে চুড়ান্ত ধারণা পত্র প্রণয়ন করা হবে জানিয়েছেন জেলা শিশু সংগঠক নারগীস সুলতানা। মূলতঃ শিশু বান্ধব জেলায় শিশু অধিকার সনদকে চেতনায় ধারণ করে জাতীয় শিশু নীতি ২০১০ এবং সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে তাদের আইন, কর্মসূচি ও বাজেট প্রনয়ণ করবে। শিশু বান্ধব জেলা গড়া একটি সমন্বিত এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবে স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা যা বিভিন্ন সেক্টরের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হবে। এখানে জরুরী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ অগ্রাধিকার পাবে এবং অগ্রগতি পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রত্যেক বছর নতুন নতুন বিষয় ও কর্মসূচি সন্নিবেশিত হবে। তবে শিশু বান্ধব জেলা প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া হিসাবে আশু করণীয় ধাপসমূহ অনুসরণ করা যেতে পারে। ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. শাখাওয়াত হোসেন জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় জেলার শিশু একাডেমী, এনসিটিএফ, সরকারী-বেসরকারী এনজিও প্রতিষ্ঠান কার্যকরী ভূমিকার প্রশংসা করেন। শিশুদের উন্নয়নে কাজ করতে সমাজের সকল শ্রেনী-পেশার লোকজনকে এগিয়ে আসতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠিকে শিশু বান্ধব জেলা হিসেবে শিশুদের মতামত প্রকাশের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশের মধ্যে ঝালকাঠিই প্রথম জেলা যে জেলার উন্নয়ন পরিকল্পনায় শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিত করার জন্য সরকারি জেলা উন্নয়ন সভায় সদস্যপদ পেয়েছে।এতে করে জেলার উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহন সহ তাদের মতামত প্রদান করতে পারছে জেলার শিশুরা। ঘোষনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে শিশুবান্ধব জেলা হিসেবে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে ঝালকাঠি জেলা। এদিকে শিশুবান্ধব জেলা হিসেবে ঘোষনার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করা জাতীয় পর্যায়ের শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্স শিশু বান্ধব জেলা বির্নিমানে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলছে। সংগঠনটির শিশু প্রতিনিধিরা জেলা সার্বিক শিশু অধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে নীতি নির্ধারনী মহলে নিরন্তর এ্যাডভোকেসি করে যাচ্ছে।জাতিসংঘ শিশু অধিকার কমিটিতে সরকারের সাময়িক প্রতিবেদনের সাথে জাতীয়ভাবে শিশুদের প্রদত্ত বিকল্প প্রতিবেদনে প্রনয়নেও ভূমিকা রেখেছে সংগঠনটির ঝালকাঠির শিশু নেতারা। একটি কর্মশালার আয়োজন করা যেখানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শিশু প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিভাগ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিশু সংগঠন প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, আইনজীবী, দাতাগোষ্ঠী প্রতিনিধি, শিক্ষকসহ শিশুদের নিয়ে ভাবেন ও কাজ করেন তাদের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো প্রয়োজন। এই কর্মশালায় শিশু বান্ধব জেলার ধারণাসমূহকে কর্মসূচীতে রূপান্তর করা যেতে পারে। কর্মশালায় সংশি­ষ্ট বিভাগ ও ব্যক্তিবগের্র সমন্বয়ে ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরী করা দরকার। যারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরী করবে। বিভিন্ন ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রণীত পরিকল্পনা ও সুপারিশসমূহ সমন্বিত ভাবে গ্রন্থিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন কৌশল নির্ধারণ করা যেতে পারে।জেলা প্রশাসক নেতৃত্বে সংশি­ষ্ট সকল বিভাগের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী ও কার্যকরী কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। এই কমিটি শিশু বান্ধব জেলা গড়ার পরিকল্পনা সমূহকে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। শিশু বান্ধব জেলা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল, উপকরণ, যানবাহনসহ জেলা প্রশাসনের একটি সেল স্থাপন করা দরকার। তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ রক্ষণাবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য স্থাপিত সেলে একটি কম্পিউটারাইজ ডাটা বেইজ প্রতিস্থাপন করা এবং প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।সহজে বাস্তবায়নযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচীসমূহ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। আশিকুর রহমান